‘ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ইংলিশ’

 ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ইংলিশ’

মাত্র ২১ দিনের ভিতর কোন চেঞ্জ আসা পসিবল?

আসলে ভাষা হিসেবে ইংলিশ খুব একটা সহজ না। বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা, ফালতু কনফিউজিং রুলস নিয়মকানুন সব ভাষাতেই টুকটাক আছে।


তবে তুলনামূলক ভাবে অন্য অনেক ভাষার মধ্যে ইংলিশ একটু সহজ। এবং আন্তর্জাতিক আকাশে এটার দরকারও আছে।

তবে সহজ বা কঠিন যাই হোক, যেকোন ভাষা আমরা চাইলে আমাদের খুব দ্রুত আয়ত্ব করে ফেলতে পারি।

জোর দিয়ে লাগলে ৩/৪ মাসের মধ্যে প্রোফেশনাল কনভার্সেশন শিখে নিতে পারি। কারণ কোন নির্দিষ্ট একটা টপিকের উপর আলোচনায় অল্প শব্দই লাগে। খুব বেশি শব্দার্থ বা ভোকাবুলারী মুখস্ত করার প্রয়োজনও পড়ে না।






ইংলিশ শেখার লাভ ও ক্ষতি:


১.

দারুন সব গল্পের বই বা অনুবাদ পড়তে পারবো।

হরর, থ্রিলার, ফ্যান্টাসী, সাইফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতবেজাতের হেন বই নেই যা ইংলিশে লেখা নাই কিংবা অনুবাদ হয়নি। যারা প্রচুর গল্প পড়তে পছন্দ করেন এবং বাংলায় যথেষ্ঠ বই পান না, তাদের জন্য অবশ্যই ইংলিশ শেখা জরুরি।
*** না শিখলে অনুবাদের আশায় আশায় মৃত্যু হয়ে যাবে এক সময়।

২.

আয় করতে ও বাড়িয়ে নিতে:
স্কিল শেখার পর সবচাইতে জরুরি হচ্ছে কমিউনিকেশন। কোন কোন সফল ফ্রিল্যান্সার স্কিলের থেকেও কমিউনিকেশনে গুরুত্ব দেন। যত সফল মানুষ দেখবেন, তারা সবাই যোগাযোগে ভালো। এবং যোগাযোগে ভালো হবার জন্য ইংলিশে কনভার্সেশন শেখাটা জরুরি।
এছাড়াও বিদেশে চাকরী পেতে ইংলিশ খুব জরুরি।
*** ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার পুরাই বরবাদ হয়ে যাবে ঠিকঠাক ইংলিশ বলতে বা বুঝতে না পারলে।

৩.

পড়াশোনায় ভালো করা যাবে
ইংলিশ সাবজেক্টে শুধু না, অন্য যেকোন সাবজেক্টে ভালো করা যাবে ইংলিশের বিভিন্ন পোস্ট, কলাম পড়লে, ডকুমেন্টরী দেখলে।

শুধু পড়াশোনাই না, নিজেকে আপটুডেট রাখতে, ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে দেশ বিদেশের বিভিন্ন নিউজ খবরাখবর ইংলিশে পাওয়া যাবে।


৪.

বিদেশ ভ্রমণ সহজ ও মজার

বিদেশে বেড়াতে গেলে ভাষার জ্ঞান যে কতটা জরুরী সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না?

ঘুরতে কিংবা চিকিৎসা নিতে আমাদের বিদেশ যেতে হতেই পারে। ইংলিশ এখানে খুব জরুরি উপকারটা করবে।

৫.

নতুন ভাষা শিখলে স্মৃতি বাড়ে

হ্যাঁ। নতুন ভাষা শেখা মানে একটা চ্যালেঞ্জ নেয়া। ব্রেনের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। ভালো ধরণের চ্যালেঞ্জ।

এবং নিয়মিত চ্যালেঞ্জ নেয়ার অভ্যাস থাকলে নিউরণের নেটওয়ার্ক বাড়ে তথা স্মৃতিশক্তি বাড়ে।




ইংলিশ শেখার সহজ নিয়ম:

১.

মুভি বা নাটক দেখা যাবে না। এতে করে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকসেন্ট ও শব্দের গোলকধাধায় হারিয়ে যেতে হবে।


২.

যে বিষয়ের স্কিল শিখছি ঐ ভিডিও টিউটোরিয়াল ইংলিশে দেখবো। টিউটোরিয়াল পজ করে করে ইংলিশ উচ্চারণ করার চেষ্টা করবো। এতে করে স্পিকিং ও লিসেনিং স্কিল দুইটাই বাড়বে।


৩.

পার্টনার খুজে বের করবো। পার্টনার ও গ্রুপের কোন বিকল্প নাই।
পার্টনারের সাথে ঘন্টাখানিক এটা সেটা নিয়ে আলাপ করবো, চ্যাটিং করবো। নতুন নতুন মুখস্ত করা শব্দ নিয়ে কথা বলবো। বাক্য বানাবো, বার বার ব্যবহার করবো।


৪.

প্রতিদিন ৫টা ভোকাবুলারি মুখস্ত করবো। একদম স্ট্রং ভাবে মানবো। এটা অনেক সহজ। মুখস্ত করার পর পুরনোগুলো আউড়ে নিবো। এবং ১ মাস পর দেখবো ১৫০ শব্দার্থ মুখস্ত হয়ে গেছে।

চার মাসে ৫০০ এর বেশি শব্দার্থ মুখস্ত আছে।


৫.

নিয়মিত ইংলিশ গল্পের বই ও নিউজ পেপার পড়তে হবে। দিনে মিনিমাম ৩০ মিনিট করে।


৬.

নিউজ ও ডকুমেন্টরি দেখবো মন দিয়ে। ইউটিউব সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ইংলিশ খবরের চ্যানেল আছে। এগুলো ক্যাজুয়াল ইংলিশের জন্য বেস্ট অপশন। দেখবো আর উচ্চারণ প্রাকটিস করবো। ঘন্টাখানিক এখানে সময় বের করা মানে ব্যবসায় ইনভেস্ট করার মতো।


৭.

নিজের সাথে নিজে কথা বলা জরুরি। আয়নার সামনে দাড়িয়ে হোক অথবা ঘরের ল্যাপটপটার সাথে বা দেয়ালটার সাথে কথা বলা প্রাকটিস করতে হবে।

যত কথা বলবো, তত স্মুথনেস বাড়বে, সাহস বাড়বে, সক্রিয়তা বাড়বে।


জোর দিয়ে লেগে থাকি। ইনশাআল্লাহ, দশ দিন পরই টের পাবো কিছু একটা চেঞ্জ হচ্ছে।

টানা ২১ দিন পর নিজেই রেজাল্ট দেখে অবাক হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

চারমাস পরতো ঠি


0 Comments